অফিস চলাকালীন সময়ে দূতাবাসে নিয়মিত যোগাযোগের নম্বর দু'টি  +39 06 8079541, +39 06 8083595  (ছুটির দিন ব্যতিত)। তবে, দূতাবাসের সার্বক্ষণিক পাইলট/জরুরী নম্বর দু'টি +39 324 555 6403, 351 176 6537 - ছুটির দিনসহ ২৪ ঘন্টা (24/7) চালু রয়েছে। শুধুমাত্র অতীব জরুরী প্রয়োজনে এ নম্বরে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, পাসপোর্ট / কন্স্যুলার ও অন্যান্য রুটিন দৈনন্দিন অনুসন্ধান (query)/ এপয়েন্টমেন্ট গ্রহনের জন্য এই পাইলট/জরুরী নম্বর প্রযোজ্য নয়।


সেবা সংক্রান্ত সম্ভাব্য প্রশ্নাবলী

বাংলাদেশ দূতাবাসরোম

 পাসপোর্টজন্ম/মৃত্যু সনদসত্যায়ন সংক্রান্ত নমুনা প্রশ্নোত্তর


 আমার সন্তান ইতালিতে জন্মগ্রহণ করেছে। আমি কোথায়কিভাবে তাঁর জন্মসনদ তৈরি করতে পারবো?

 রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা বাংলাদেশে আপনার স্থায়ী ঠিকানা হতে শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে পারেন। বাংলাদেশ দূতাবাস হতে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে চাইলে bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন করুন। অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া সহজে বোঝার জন্য //drive.google.com/file/d/1iBOYSraX3s1OP3rs-c9jsr22HhOWjMP2/view লিঙ্কে দেয়া ভিডিওটি দেখতে পারেন। অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের আবেদনের ফটোকপির সাথে যে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে তা হলোঃ ইতালির যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে প্রদত্ত জন্ম সনদ (যেখানে সন্তান এবং বাবা-মা তিনজনের নাম উল্লেখ আছে), বাবা ও মায়ের পাসপোর্টের ফটোকপি। উল্লেখ্য, অনলাইনে আবেদন জমা দেয়ার পরে তা ১৫ দিন যাবত সিস্টেম (সফটওয়্যার)-এ সংরক্ষিত থাকে, এরপর তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে মুছে যায়। বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রস্তুত করতে সাধারণত ৫ কর্মদিবস সময় প্রয়োজন। অতএব, অনলাইনে আবেদনের সময় এপয়েন্টমেন্টের তারিখ খেয়াল রেখে প্রয়োজনীয় সময় হাতে রেখে দূতাবাসে আবেদনপত্র জমা দিন।


 একই ব্যক্তি একাধিকবার জন্ম নিবন্ধন করতে পারবে কি?

একই ব্যক্তির অনুকূলে একাধিকবার জন্ম নিবন্ধন করা যাবে না। এটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এর ২১ ধারা অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ।


 জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করা যাবে কিনাসম্ভব হলে তা কিভাবে?

জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করতে হলে bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যে অফিস থেকে সনদ সংগ্রহ করেছেন সেই অফিসেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সফটওয়্যারে প্রবেশ করে বাম দিকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন লেখা অংশে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুসরণ করুন। এ সংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য drive.google.com/file/d/1eWObjVoVLIcHfl6bo0T7WcXzLVekM8Kt/view লিংকে গিয়ে ভিডিওটি দেখতে পারেন।


 জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে শিশুকে আনতে হবে কিনা?

জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে শিশু সন্তানকে আনতে হবে না। তবে বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদনকারীকে সশরীরে হাজির হতে হবে।


 আমি পাসপোর্টের জন্য কিভাবে এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবো?

দূতাবাসের এপয়েন্টমেন্ট অনলাইনভিত্তিক। প্রতি শুক্রবার সকাল ১০টায় অনলাইনে পাসপোর্টসহ অন্যান্য সকল কন্স্যুলার সেবার জন্য এপয়েন্টমেন্ট খোলা হয়। এপয়েন্টমেন্ট গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস রোমের ওয়েবসাইটে গিয়ে //www.bdembassyrome.it/ ক্লিক করুন। যে তারিখের এপয়েন্টমেন্ট নিতে ইচ্ছুক সেই তারিখে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে এপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করুন।


 ইতালিতে জন্মগ্রহণকারী শিশুর নতুন পাসপোর্ট করাতে কি কি করতে হবে

শিশুর পাসপোর্ট তৈরী করতে প্রথমেই শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে হবে।রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা বাংলাদেশে আপনার স্থায়ী ঠিকানা হতে শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে পারেন। বাংলাদেশ দূতাবাস হতে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে চাইলে bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন করুন। অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া সহজে বোঝার জন্য //drive.google.com/file/d/1iBOYSraX3s1OP3rs-c9jsr22HhOWjMP2/view লিঙ্কে দেয়া ভিডিওটি দেখতে পারেন। অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের আবেদনের ফটোকপির সাথে যে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে তা হলোঃ ইতালির যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে প্রদত্ত জন্ম সনদ (যেখানে সন্তান এবং বাবা-মা তিনজনের নাম উল্লেখ আছে), বাবা ও মায়ের পাসপোর্টের ফটোকপি। উল্লেখ্য, অনলাইনে আবেদন জমা দেয়ার পরে তা ১৫ দিন যাবত সিস্টেম (সফটওয়্যার)-এ সংরক্ষিত থাকে, এরপর তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে মুছে যায়। বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রস্তুত করতে সাধারণত ৫ কর্মদিবস সময় প্রয়োজন। অতএব, অনলাইনে আবেদনের সময় এপয়েন্টমেন্টের তারিখ খেয়াল রেখে প্রয়োজনীয় সময় হাতে রেখে দূতাবাসে আবেদনপত্র জমা দিন।

শিশুর নতুন পাসপোর্ট তৈরির জন্য আবেদন করতে আপনি //www.passport.gov.bd/ লিংকে ক্লিক করে অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করুন। অনলাইনে নতুন পাসপোর্টের আবেদন ফরম সহজভাবে পূরণ করার জন্য তার অসংখ্য ভিডিও ইউটিউবে দেয়া আছে। তার মধ্য থেকে আপনাদের সহযোগিতার জন্য একটি ভিডিও //www.youtube.com/watch?v=aTSy1oJPhzs শেয়ার করা হচ্ছে। অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে যখন পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হবে, তখন স্কিপ পেমেন্ট (Skip Payment) বক্সটি ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান; পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য এখানে দেয়ার প্রয়োজন নেই। দূতাবাস আলাদা ভাবে পাসপোর্ট তৈরির ফিস জমার রশিদ সিস্টেমে সরাসরি জমা দিয়ে দেবে। ফরম পূরণ শেষে ফরমের (বারকোড সহ ৪ পাতার আবেদন)-এর এক কপি প্রিন্টের সাথে নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবেঃ

ক) বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা বাংলাদেশ হতে সংগৃহীত জন্ম নিবন্ধন সনদ;

খ) ইতালিয়ান জন্ম সনদের ফটোকপি;

গ) শিশুর বাবা এবং মায়ের পাসপোর্টের ফটোকপি;

 ঘ) আবেদনপত্রের শিশুর ২ কপি এবং বাবা-মায়ের প্রত্যেকের ১ কপি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি (ছবি তোলার সময় চশমাসাদা শার্টফেন্সি টুপিকপালে নজর টিপবা অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় জিনিস পরিহার করুন। শিশুর ছবিটি পোর্ট্রেট (portrait) ধরনের হবেচোখ খোলা থাকবেদুটো কান যথাসম্ভব দৃশ্যমান হতে হবেমাথার উপরে এবং মুখমন্ডলের উভয় পাশে খালি জায়গা থাকবেছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে। এই পাসপোর্ট ফর্মের কোথাও কোন সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না)


 আমার পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য আলাদা এপয়েন্টমেন্ট লাগবে কি?

পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য একটি এপয়েন্টমেন্ট যথেষ্ট। পরিবার বলতে নিজ, স্ত্রী, সন্তান, বাবা এবং মা বোঝাবে। এর বাইরে কাউকে পরিবারের সদস্য হিসেবে গণ্য করার সুযোগ নেই।


 পাসপোর্টের আবেদনের জন্য কত ইউরো ফিস প্রদান করতে হবেশিশুদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ফিস কি একই

নতুন পাসপোর্ট তৈরী এবং পাসপোর্ট নবায়ন (শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক) উভয় ক্ষেত্রেই ফি ১০০ ইউরো।


 শিক্ষার্থীদের পাসপোর্ট নবায়ন করতে কত ফিস লাগবেএর জন্য আলাদা কি ডকুমেন্ট লাগবে?

শিক্ষার্থীদের পাসপোর্ট নবায়ন করার ফি ৩০ ইউরো। এজন্য শিক্ষার্থীর বয়স ন্যূনতম ০৬ (ছয়) বছর হতে হবে এবং তাকে কোন শ্রেণিতে পড়তে হবে; স্কুলের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ইতালির যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত চলমান শিক্ষাবর্ষের সিলমোহর ও স্বাক্ষরিত সনদ উপস্থাপন করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত চলমান সেশন, অধ্যায়নরত বিষয়সহ বিস্তারিত উল্ল্যেখ করে সিলমোহর ও স্বাক্ষর সম্বলিত সনদ উপস্থাপন করতে হবে।


১০ পাসপোর্টের মেয়াদ সরবোচ্চ কতদিন থাকলে পাসপোর্ট নবায়ন করা যাবে?

পাসপোর্টের মেয়াদ সর্বোচ্চ ০৬ মাস থাকলে পাসপোর্ট নবায়ন করা যাবে।


১১ পাসপোর্টের ফিস কিভাবে প্রদান করতে হবে?

বর্তমানে দূতাবাসে নগদ অর্থে (ইউরো) পাসপোর্টের ফি প্রদান করতে হয়। শীঘ্রই দূতাবাস ব্যাংক-কার্ডের মাধ্যমে ফি গ্রহণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।


১২ ডাকযোগে পাসপোর্টের আবেদন পাঠাতে বা ফেরত পেতে পারবো কিনাডাকযোগে পাসপোর্ট প্রাপ্তির উপায় কি?

ডাকযোগে পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য দূতাবাসে পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট করার পরে নির্ধারিত ফি (সাধারণত ১০-২০ ইউরো) প্রদান করে ডিএইচএল (DHL) এর একটি ফর্ম পূরণ করতে হয়। পাসপোর্ট দূতাবাসে এসে পৌঁছালে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে ডিএইচএল (DHL) এর প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, এই প্রক্রিয়াটি নির্ভর করে ডিএইচএল (DHL) এর নিজস্ব কর্মপরিকল্পনার উপর।


১৩ মূল রশিদ হারিয়ে গেলে কি করণীয়?

মূল রশিদ হারিয়ে গেলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে যথাযথ প্রমাণাদি (পূর্ববর্তী মূল পাসপোর্ট) উপস্থাপন করে আবেদনকারী পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। পূর্ববর্তী পাসপোর্ট না থাকলে আবেদনকৃত পাসপোর্ট সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে পরীক্ষণ সাপেক্ষে পাসপোর্ট দেয়া যাবে।


১৪ আমি এম্বাসির ঠিকানা জানতে চাইবাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে হলে আমি কোন স্টেশন  আসবো বা স্টেশনের কোন গেট দিয়ে বের হব

রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ঠিকানা হলোঃ ভিয়া দেল এন্তারতিদে ৫-৭, এয়র, ০০১৪৪, রোম

মেট্রোতে রোমের যে কোন স্টেশন থেকে এয়র পালাসপোরট (EUR Pallasport) স্টেশনে নেমে লেকের উপর সেতু পার হয়ে ১০০ মিটার এগিয়ে হাতের ডান পাশে এগোলেই দূতাবাসে পৌঁছে যাবেন। বাসে রোমের যে কোন জায়গা থেকে পালাজ্জো স্পোর্ট স্টেশনে এসে নামলে পূর্ব দিকে একটি উচু টাওয়ার দেখা যাবে। এর পাশেই বাংলাদেশ দূতাবাস অবস্থিত। দূতাবাসের নিকটতম বাস ষ্টেশন হলো পালাজ্জো স্পোর্ট-নেরভি (Palazzo Sport/Nervi) যেখান থেকে নিয়মিতভাবে ৭৮০, ৬৭১, ৭৯১, ৭১৪, L-20 এসব নম্বরের বাস যাওয়া আসা করে।


১৫ আমি চাকরি জনিত কারণে কাজের দিন গুলোতে ছুটি পাই না। আমি কি কোন বন্ধের দিনে দূতাবাসে আমার জন্ম নিবন্ধন সনদের কাজে আসতে পারিছুটির দিনে দূতাবাস কি খোলা থাকবে?

সাধারণত কোনরূপ পূর্বঘোষণা না থাকলে দূতাবাস সপ্তাহের পাঁচ দিন সোমবার-শুক্রবার পর্যন্ত প্রতিদিন ৯-৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং ৯.৩০-৫টা পর্যন্ত সেবা দেয়া হয়। দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছুটির নোটিশ দেখে আপনারা কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে পারেন। (২০২১ সালের ছুটির তালিকা)।


১৬ আমার/আমার বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন সনদ ইতোপূর্বে দূতাবাস থেকে নিয়েছিলাম। কিন্তু তা আমি হারিয়ে ফেলেছি। এখন পাসপোর্ট এর আবেদনের সময় সেটার কপি আমার পুনরায় প্রয়োজন। আমাকে কি করতে হবে?

আপনার বাচ্চার নাম, জন্মতারিখ, জন্মস্থান ব্যবহার করে আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদের অনুলিপি সংগ্রহ করতে পারেন। এজন্য আপনাকে bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করে নির্দেশিত তথ্য সরবরাহ করে দূতাবাস থেকে (কিংবা যেখান থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করেছেন সেখান থেকে) অনুলিপি সংগ্রহ করতে পারেন।


১৭ অনলাইনে আবেদন করতে না পারলে কি করনীয়

অনলাইনে না পারলে হার্ড কপির উপর হাতে লিখেও ফর্ম পূরণ করা যায়; তবে সেক্ষেত্রে অনেক ভুল-ত্রুটির সম্ভাবনা থাকে এবং তা সময় সাপেক্ষ বিষয় কেননা আপনার তথ্য সমূহকে আমাদের ম্যানুয়ালি টাইপ করে দিতে হয়। মনে রাখবেন পাসপোর্ট যেহেতু একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এবং এর তথ্য সমূহ নির্ভূল হওয়া খুবই জরুরী তাই আপনি নিজে সময় নিয়ে অনলাইনে নিজের তথ্য নিজে পূরণ করুন আর আপনার পক্ষে অনলাইনে ফরম পূরণ করা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ কোন বন্ধু বা আত্মীয়ের সহযোগিতা নিন। একবার যদি পাসপোর্ট এর তথ্য ভুল হয়ে যায় সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন বা সংশোধন করতে আপনাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।


১৮ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার জন্য বাচ্চাকে দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে কিনা জানতে চাই

বাচ্চার যদি প্রথম এমআরপি পাসপোর্ট করতে হয় এবং বাচ্চার বয়স যদি দুই (২) বছরের কম হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চাকে সাথে আনার প্রয়োজন নেই। আর বাচ্চার বয়স যদি ২ বছরের অধিক হয় সে ক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই দূতাবাসে আসতে হবে।


১৯ প্রথমবার পাসপোর্ট করার সময় তো বাচ্চাকে নিয়ে আসিনি। তাহলে এখন কেন আনতে হবে?

প্রথমবার বাচ্চার বয়স পাঁচ বছরের কম ছিল, তাই ফিঙ্গারপ্রিন্ট বাধ্যতামূলক ছিল না। এখন পাঁচ বছরের বেশি হওয়াতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার প্রয়োজন বিধায় বাচ্চার উপস্থিতি আবশ্যক।


২০ বাংলাদেশ দূতাবাস রোমে পাসপোর্ট করতে দিলে পাসপোর্ট হাতে পেতে কতদিন সময় লাগেআর জরুরী পাসপোর্ট করার কোন সুযোগ আছে কিনা

দূতাবাস থেকে জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট করার সুযোগ নেই। সাধারণত পাসপোর্টের এনরোলমেন্ট করার পরে ২ মাসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়ে দূতাবাসে চলে আসে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে যেমন তথ্য পরিবর্তন, আনুসাংগিক কাগজপত্র ভেরিফিকেশন বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের অস্পষ্টতার কারনেও বিলম্ব হতে পারে। কখনো পাসপোর্ট এই সময়ের আগেও চলে আসে। এখানে উল্লেখ্য, দূতাবাসে পাসপোর্ট প্রিন্ট হয় না, ঢাকাস্থ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে থাকা বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে তা প্রিন্ট করা হয়। দূতাবাস নির্দিষ্ট সার্ভারের মাধ্যমে পাসপোর্টের তথ্য পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পাঠায় এবং সেখান থেকে পাসপোর্ট প্রিন্ট করে দূতাবাসে প্রেরণ করা হয়। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় ১০-১২ টি ধাপ রয়েছে যা অত্যন্ত সাবধানতার সাথে প্রতিপালন করতে হয়।


২১ আমার এনরোলমেন্ট বা ডেলিভারি স্লিপে যে ডেলিভারির তারিখ উল্লেখ আছেআমি কি সেই দিন পাসপোর্ট পাবো?

সেটা নির্ভর করে ঢাকাস্থ পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে রোমে পাসপোর্ট এসেছে কিনা তার উপর। যে সকল পাসপোর্ট বিতরণের জন্য প্রস্তুত হয় সেগুলোর তালিকা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে নিয়মিত আপলোড করা হয়। সেখানে আপনার ITA100000XXXXXX নম্বর দেখে নিশ্চিত হয়ে দূতাবাসে এসে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারেন।


২২ আমি পাসপোর্টের জন্য গত xx তারিখে জমা দিয়েছি। আমার পাসপোর্ট টা কি এসেছে?

আপনি দূতাবাসের ওয়েবসাইটে/ফেসবুক পেইজে আপলোড করা প্রস্তুতকৃত পাসপোর্টের তালিকা থেকে আপনার পাসপোর্টের সম্পর্কে জানতে পারেন। এছাড়া দূতাবাসের ওয়েবসাইট অথবা পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে গিয়ে ITA100000XXXXXX নম্বর (যা আপনার এনরোলমেন্ট স্লিপের উপরে ডানপাশে উল্লেখ করা আছে) লিখে আপডেট জানতে পারেন।